ভূমিকা : ধান বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে বহুল পরিচিত । আমাদের দেশের সর্বপ্রধান কৃষিজাত উৎপন্ন দ্রব্য এই ধান । দেশের অধিকাংশ কৃষক এই ধান চাষের উপর নির্ভরশীল । এর ফসল ভালাে না হলে দেশে হাহাকার পড়ে যায় । দেশে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ এবং অনেক অঞ্চলে শুরু হয় মঙ্গাভাব ।
প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি ধানের চাষ হয় । আমাদের দেশ ছাড়াও মায়ানমার , থাইল্যান্ড , চীন , জাপান , ভারত , শ্রীলঙ্কা , পাকিস্তান , মিশর , মেক্সিকো প্রভৃতি স্থানে ধান জন্মে ।
প্রকারভেদ : ধান অনেক প্রকারের হয় । আউশ , আমন , ইরি , বােরাে ইত্যাদি । আউশ বর্ষাকালে জন্মে । আমন ধান কার্তিক - অগ্রহায়ণ মাসে পাকে । ইরি ধান প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বারাে মাসই চাষ করা যায় । বােরা ধান চৈত্র মাসে জন্মে । স্বাদ , গন্ধ , চিকন , মােটা ইত্যাদি দিক দিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন নামের বহু রকমের ধান আছে । এদের মধ্যে শালি , কাটারিভােগ , বিরুই , গন্ধকস্তুরা , বালাম , কালাজিরা , প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য ।
বর্ণনা : ধান গাছ সাধারণত এক থেকে তিন হাত পর্যন্ত লম্বা হয় । তবে নিচু জমির কোনাে কোনাে প্রকার ধান গাছ ৪ / ৫ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে । ধান গাছ প্রথমে সবুজ হয়ে বেড়ে ওঠে কিন্তু পাকলে সােনালি বর্ণের হয় । কোনাে কোনাে ধান কালােও হয় ।
চাষের পদ্ধতি : ধান সাধারণত দুভাবে চাষ করা হয় । ( ১ ) বােনা ধান ও ( ২ ) রােপা ধান । চৈত্র - বৈশাখ মাসে জমি ভালােভাবে চাষ করে ধান বুনে মই দিতে হয় । এ নিয়মকে বােনা ধান বলে । আবার জৈষ্ঠ – আষাঢ় মাসে ছােট ছােট কর্দমাক্ত জমিতে ঘন করে বীজ বুনতে হয় । ঐ বীজ থেকে চারা এক - দেড় ফুট লম্বা হলে তা উঠিয়ে নিয়ে অন্য জমিতে লাগাতে হয় । এ পদ্ধতিকে রােপা ধান বলে । ইরি এবং বােরো ধান এ পদ্ধতিতেই চাষ করা হয় ।
সংগ্রহের নিয়ম : ধান পাকলে কৃষকরা কেটে এনে গরু , মহিষ বা মানুষের পা দিয়ে বাড়িতে মাড়াই করে । বর্তমানে যন্ত্রের সাহায্যেও ধান মাড়াই করা হয় । ধান শুকিয়ে ঢেকি বা মেশিন দ্বারা চাল করা হয় । চাল দু ধরনের — আতপ ও সিদ্ধ । খেত থেকে পাওয়া ধান শুকিয়ে সরাসরি চাল তৈরি করলে তাকে আতপ চাল বলে । অন্যদিকে ধান পানিতে ভিজিয়ে সিদ্ধ করে শুকিয়ে চাল তৈরি করলে তাকে সিদ্ধ চাল বলে । নতুন ধান আসলে বাংলাদেশের কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব ।
ব্যবহার : চাল থেকে ভাত ছাড়া পিঠা , খৈ , মুড়ি , চিড়া , মিষ্টান্ন , পােলাও , পায়েস ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় । ধানের খড় গরুর খাদ্য , জ্বালানি , ঘরের চাল এবং কাগজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় । চালের কুড়া হাঁস - মুরগির উন্নতমানের পুষ্টিকর খাদ্য । খড় ও ধানের তুষ - কুড়া জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
উপসংহার : ধান যেহেতু আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য সেহেতু পর্যাপ্ত পরিমাণে সার , ওষুধ এবং পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত মেশিন প্রভৃতির মাধ্যমে বেশি বেশি ধান চাষ করা আমাদের প্রধান কর্তব্য । ধান চাষে আমাদের দেশের কৃষকের আরাে যত্নবান হওয়া উচিত ।
প্রাপ্তিস্থান : বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি ধানের চাষ হয় । আমাদের দেশ ছাড়াও মায়ানমার , থাইল্যান্ড , চীন , জাপান , ভারত , শ্রীলঙ্কা , পাকিস্তান , মিশর , মেক্সিকো প্রভৃতি স্থানে ধান জন্মে ।
প্রকারভেদ : ধান অনেক প্রকারের হয় । আউশ , আমন , ইরি , বােরাে ইত্যাদি । আউশ বর্ষাকালে জন্মে । আমন ধান কার্তিক - অগ্রহায়ণ মাসে পাকে । ইরি ধান প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর বারাে মাসই চাষ করা যায় । বােরা ধান চৈত্র মাসে জন্মে । স্বাদ , গন্ধ , চিকন , মােটা ইত্যাদি দিক দিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন নামের বহু রকমের ধান আছে । এদের মধ্যে শালি , কাটারিভােগ , বিরুই , গন্ধকস্তুরা , বালাম , কালাজিরা , প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য ।
বর্ণনা : ধান গাছ সাধারণত এক থেকে তিন হাত পর্যন্ত লম্বা হয় । তবে নিচু জমির কোনাে কোনাে প্রকার ধান গাছ ৪ / ৫ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে । ধান গাছ প্রথমে সবুজ হয়ে বেড়ে ওঠে কিন্তু পাকলে সােনালি বর্ণের হয় । কোনাে কোনাে ধান কালােও হয় ।
চাষের পদ্ধতি : ধান সাধারণত দুভাবে চাষ করা হয় । ( ১ ) বােনা ধান ও ( ২ ) রােপা ধান । চৈত্র - বৈশাখ মাসে জমি ভালােভাবে চাষ করে ধান বুনে মই দিতে হয় । এ নিয়মকে বােনা ধান বলে । আবার জৈষ্ঠ – আষাঢ় মাসে ছােট ছােট কর্দমাক্ত জমিতে ঘন করে বীজ বুনতে হয় । ঐ বীজ থেকে চারা এক - দেড় ফুট লম্বা হলে তা উঠিয়ে নিয়ে অন্য জমিতে লাগাতে হয় । এ পদ্ধতিকে রােপা ধান বলে । ইরি এবং বােরো ধান এ পদ্ধতিতেই চাষ করা হয় ।
সংগ্রহের নিয়ম : ধান পাকলে কৃষকরা কেটে এনে গরু , মহিষ বা মানুষের পা দিয়ে বাড়িতে মাড়াই করে । বর্তমানে যন্ত্রের সাহায্যেও ধান মাড়াই করা হয় । ধান শুকিয়ে ঢেকি বা মেশিন দ্বারা চাল করা হয় । চাল দু ধরনের — আতপ ও সিদ্ধ । খেত থেকে পাওয়া ধান শুকিয়ে সরাসরি চাল তৈরি করলে তাকে আতপ চাল বলে । অন্যদিকে ধান পানিতে ভিজিয়ে সিদ্ধ করে শুকিয়ে চাল তৈরি করলে তাকে সিদ্ধ চাল বলে । নতুন ধান আসলে বাংলাদেশের কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব ।
ব্যবহার : চাল থেকে ভাত ছাড়া পিঠা , খৈ , মুড়ি , চিড়া , মিষ্টান্ন , পােলাও , পায়েস ইত্যাদি সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় । ধানের খড় গরুর খাদ্য , জ্বালানি , ঘরের চাল এবং কাগজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় । চালের কুড়া হাঁস - মুরগির উন্নতমানের পুষ্টিকর খাদ্য । খড় ও ধানের তুষ - কুড়া জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
উপসংহার : ধান যেহেতু আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য সেহেতু পর্যাপ্ত পরিমাণে সার , ওষুধ এবং পানি সেচের জন্য শক্তিচালিত মেশিন প্রভৃতির মাধ্যমে বেশি বেশি ধান চাষ করা আমাদের প্রধান কর্তব্য । ধান চাষে আমাদের দেশের কৃষকের আরাে যত্নবান হওয়া উচিত ।



0 Comments