ভূমিকা : যেসব প্রাণী মানুষের বশ্যতা স্বীকার করে মানুষের জীবনধারার পথ সুগম করেছে , গরু তাদের মধ্যে অন্যতম । গরু গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু । প্রাণীদের মধ্যে গরু আমাদের সবচেয়ে বেশি উপকারী । অতি প্রাচীনকাল হতেই গরু মানুষের উপকার করে আসছে । তাই গৃহপালিত জন্তুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান গরুকেই দান করেছে ।
আকৃতি ও প্রকৃতি : লাল , কালাে , সাদা মিশ্রিত প্রভৃতি বর্ণের গরু দেখতে পাওয়া যায় । এর চারটি পা , দুটি কান , দুটি চোখ , দুটি শিং ও একটি লেজ আছে । আমাদের দেশের গরু সাধারণত তিন - চার হাত লম্বা ও দু তিন হাত উচু হয়ে থাকে । গরুর সমস্ত শরীর ছােট ছােট লােমে আবৃত । গরুর লেজের অগ্রভাগে একগুচ্ছ চুল আছে । লেজ দিয়ে এরা মশামাছি ইত্যাদি তাড়ায় । গরুর পায়ের নিচের খুরগুলাে দু ভাগে বিভক্ত । এদের উপরের পাটিতে দাত নেই । গরু শিং দিয়ে শত্রুদের কবল হতে আত্নরক্ষার চেষ্টা করে । এদের গলার নিচে লম্বা চামড়া ঝুলতে থাকে ।
স্বভাব ও খাদ্য : গরু অত্যন্ত নিরীহ প্রাণী । এরা সহজে পােষ মানে । বাচ্চা প্রসব করলে এরা কিছুটা চঞ্চল হয় । গাভীর সন্তানের প্রতি স্নেহ খুব বেশি । ষাঁড় অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির । গাভী বছরে একটি বাচ্চা প্রসব করে । গরু ঘাস , পাতা , ভুষি , খড় , ভাতের মাড় প্রভৃতি খায় । গরু প্রথমে ঘাস গিলে ফেলে । তারপর অবসর সময়ে পুনরায় মুখে এনে চর্বণ করে । একে জাবরকাটা বা রােমন্থন করা বলে । এরা বিশ পঁচিশ বছর বেঁচে থাকে ।
উপকারিতা : গরু আমাদের অত্যন্ত উপকারী জন্তু । এর দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য । শিশুরা এর দুধ পান করে বেঁচে থাকে । গরুর দুধ হতে ঘৃত , মাখন , ছানা , দধি , ঘােল ও নানা প্রকার মিষ্টিদ্রব্য প্রস্তুত হয় । ষাড় ও বলদ দ্বারা হালচাষ করা হয় । এরা গাড়ি টানে । গরুর গােবর দ্বারা সার হয় , আবার জ্বালানিরূপেও ব্যবহার করা হয় । এদের চামড়া দিয়ে জুতা , ব্যাগ , কারুশিল্প ইত্যাদি প্রস্তুত হয় । গরুর শিং দ্বারা চিরুনি ও শিরীষ প্রস্তুত করা হয় ।
অপকারিতা : গরু দ্বারা আমাদের কিছুটা ক্ষতি সাধনও হয় । গরু আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে । বিশেষ করে গরুর গােবর যথাতথা ফেললে মশা , মাছির পাদুর্ভাব বেড়ে যায় । এদেরকে বেঁধে না রাখলে এরা ফসলের ক্ষতি করে ।
উপসংহার : আজকাল আমাদের দেশে গরুর প্রতি তেমন যত্ন নেয়া হয় না । সেজন্য এরা দিন দিন রুগ্ন ও হীনবল হয়ে পড়ছে । গরুর মতাে উপকারী জন্তুর প্রতি আমাদের প্রচুর যত্ন নেয়া এবং সদয় ব্যবহার করা উচিত ।
আকৃতি ও প্রকৃতি : লাল , কালাে , সাদা মিশ্রিত প্রভৃতি বর্ণের গরু দেখতে পাওয়া যায় । এর চারটি পা , দুটি কান , দুটি চোখ , দুটি শিং ও একটি লেজ আছে । আমাদের দেশের গরু সাধারণত তিন - চার হাত লম্বা ও দু তিন হাত উচু হয়ে থাকে । গরুর সমস্ত শরীর ছােট ছােট লােমে আবৃত । গরুর লেজের অগ্রভাগে একগুচ্ছ চুল আছে । লেজ দিয়ে এরা মশামাছি ইত্যাদি তাড়ায় । গরুর পায়ের নিচের খুরগুলাে দু ভাগে বিভক্ত । এদের উপরের পাটিতে দাত নেই । গরু শিং দিয়ে শত্রুদের কবল হতে আত্নরক্ষার চেষ্টা করে । এদের গলার নিচে লম্বা চামড়া ঝুলতে থাকে ।
স্বভাব ও খাদ্য : গরু অত্যন্ত নিরীহ প্রাণী । এরা সহজে পােষ মানে । বাচ্চা প্রসব করলে এরা কিছুটা চঞ্চল হয় । গাভীর সন্তানের প্রতি স্নেহ খুব বেশি । ষাঁড় অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির । গাভী বছরে একটি বাচ্চা প্রসব করে । গরু ঘাস , পাতা , ভুষি , খড় , ভাতের মাড় প্রভৃতি খায় । গরু প্রথমে ঘাস গিলে ফেলে । তারপর অবসর সময়ে পুনরায় মুখে এনে চর্বণ করে । একে জাবরকাটা বা রােমন্থন করা বলে । এরা বিশ পঁচিশ বছর বেঁচে থাকে ।
উপকারিতা : গরু আমাদের অত্যন্ত উপকারী জন্তু । এর দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য । শিশুরা এর দুধ পান করে বেঁচে থাকে । গরুর দুধ হতে ঘৃত , মাখন , ছানা , দধি , ঘােল ও নানা প্রকার মিষ্টিদ্রব্য প্রস্তুত হয় । ষাড় ও বলদ দ্বারা হালচাষ করা হয় । এরা গাড়ি টানে । গরুর গােবর দ্বারা সার হয় , আবার জ্বালানিরূপেও ব্যবহার করা হয় । এদের চামড়া দিয়ে জুতা , ব্যাগ , কারুশিল্প ইত্যাদি প্রস্তুত হয় । গরুর শিং দ্বারা চিরুনি ও শিরীষ প্রস্তুত করা হয় ।
অপকারিতা : গরু দ্বারা আমাদের কিছুটা ক্ষতি সাধনও হয় । গরু আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে । বিশেষ করে গরুর গােবর যথাতথা ফেললে মশা , মাছির পাদুর্ভাব বেড়ে যায় । এদেরকে বেঁধে না রাখলে এরা ফসলের ক্ষতি করে ।
উপসংহার : আজকাল আমাদের দেশে গরুর প্রতি তেমন যত্ন নেয়া হয় না । সেজন্য এরা দিন দিন রুগ্ন ও হীনবল হয়ে পড়ছে । গরুর মতাে উপকারী জন্তুর প্রতি আমাদের প্রচুর যত্ন নেয়া এবং সদয় ব্যবহার করা উচিত ।



0 Comments